বন্ধ্যা দম্পতি ও অনিয়মিত পিরিয়ড এবং গর্ভাবস্থা ও দুগ্ধদানকারী নারী ব্যতীত স্তন দিয়া দুধ বা সাদা তরল বের হলে প্রল্যাকটিকন নামক হরমোনের মাত্রা নির্নয় করা জরুরী :
হরমোন কি ?
হরমোন হচ্ছে জৈবিক পদার্থ (রস ) যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন গ্রন্থি থেকে নিঃসরণ হয়ে রক্তে মিশে আমাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার পাশাপাশি প্রজনন ক্ষমতা অক্ষুন্ন রাখতে সহায়তা করে ।
প্রল্যাকটিকন হরমোন আমাদের মস্তিস্কে অবস্থিত পিটুটারী ( মাস্টার গ্লান্ড) থেকে নিঃসৃত হয় । নরমাল মাত্রায় প্রল্যাকটিকনের ভূমিকা প্রজননকালে অনস্বীকার্য । এই হরমোনের প্রজনন হরমোনের (ইস্ট্রোজেন ও পটেস্টোস্টেরোন ) উপর প্রভাব রয়েছে । ছেলেদের প্রল্যাকটিকন হরমোনের মাত্রা বাড়লে রক্তে টেস্টোস্টেরোনের মাত্রা কমে যায় ; পুরুষের এ অবস্থাকে বলে হাইপোগোনা ডিজম ।
মেয়েদের কি কি উপকারে আসে ?
* ডিম্বোস্ফুটোন / ওভূলেশন বা ডিম্বানুমুক্ত হওয়া ।
* মাসিক নিয়মিত হওয়া
* গর্ভাবস্থায় স্তনের দূধের ঘর (alveoli ) বড় করে দুধ জোগান দেওয়া
* প্রসবের পর দুধ বের হতে সাহায্য করা ।
* গর্ভবতী এবং মায়ের রক্তে (দুগ্ধদানকারী)
উক্ত হরমোনের মাত্রা বেশি থাকা স্বাভাবিক ।
প্রল্যাকটিকনের মাত্রা বৃদ্ধি হলে মেয়েদের কি কি উপসর্গ দেখা দেয় ?
স্তন দিয়া দুধের মতো তরল বের হওয়া
ডিম্বানু মুক্ত না হওয়া
অনিয়মিত পিরিয়ড
বন্ধ্যাত্ব
যোনি পথ শুষ্ক থাকা
ব্যথাযুক্ত সহবাস
সহবাসে অনাকাংখা
মাথা ব্যথা (যদি পিটুটারী গ্লান্ড বড় হয় )
পুরুষের অসুবিধাগুলো কি হতে পারে?
লিঙ্গ উত্থানে সমস্যা (erectile dysfunction )
সহবাসে অক্ষমতা / অনাকাংখা
অতিরিক্ত দূর্বলতা
স্তন আকারে বড় হওয়া ।
মাথা ব্যথা ।
বন্ধ্যাত্ব ।
প্রল্যাকটিকন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে কি কি টেস্ট করা দরকার ?
রক্তে প্রল্যাকটিকন লেভেল দেখা
রক্তে থাইরযেড হরমোনের মাত্রা দেখা
মাথার MRI করা । এই পরীক্ষায়
পিটুটারী গ্লান্ড এর বৃদ্ধি বা টিউমার বুঝা যায় ।
কিছু হরমোনের পার্ষোপ্রোতিক্রিয়ার জন্য
প্রল্যাকটিকন হরমোন বাড়তে পারে –
কিছু প্রেসারে নিয়ন্ত্রনের ঔষধ
ডিপ্রেশন / মানষিক রোগের চিকিৎসার মেডিসিন ।
কিছু আলসারের ঔষধ ।
হাইপোথাইরযেড চিকিৎসার মেডিসিন
রেডিয়েশন ইত্যাদি ।
কাজেই ; প্রল্যাকটিকন হরমোন বাড়লেই
পিটুটারী টিউমার হয়েছে বলে নিজে দুশ্চিন্তা না করে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো জরুরী ।
চিকিৎসা : মেডিসিন দিয়া বা অপারেশন
করে (পিটুটারী গ্লান্ড বড় হলে )চিকিৎসা করা যায় ।
বিশেষজ্ঞ ডাক্তার চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারন করবেন ।
নেট থেকে তথ্য নিয়া নিজে নিজে চিকিৎসা করা ঠিক হবেনা ।