প্রিএকলাম্পশিয়ার (গর্ভাবস্থায় এবং প্রসবোত্তর )কারন .উপসর্গ .ঝুঁকি ফ্যাকটর প্রতিরোধ এবং .চিকিৎসা সম্বন্ধে কিছু তথ্য :
প্রিএকলাম্পশিয়া কি ?
প্রেগনেন্সি সম্পর্কিত জটিল অবস্থা যেখানে হঠাৎ গর্ভবতীর ব্লাড প্রেসার বাড়ে এবং প্রস্রাব দিয়া প্রোটিন নির্গত হয় ।
অনেক সময় ধীরে ধীরে ব্লাড প্রেসার বাড়তে পারে । সাধারনতঃ গর্ভ ২০ সপ্তাহ পূর্ন হবার পর প্রিএকলাম্পশিয়া হয় । ব্লাড প্রেসার সাধারনতঃ ১৪০/ ৯০ বা তার বেশি হয় । যদি ব্লাড প্রেসার ১৬০/১১০ এর বেশি হয় তবে গর্ভবতী ও গর্ভস্থ বেবির জীবন হুমকির সম্মুখীন হয় । এক্ষেত্রে তাৎক্ষনিক ডেলিভারি করাতে হয় .ব্যথা উঠার ঔষধ দিয়া প্রসব ব্যথা উঠাতে হয় বা সিজার করতে হয় ।
কারন :
* জেনেটিক
*পরিবারের সদস্যদের বা নিজের ব্লাড প্রেসার এর ইতিহাস থাকলে ।
* ইমুউনোলোজীকাল ।
* অজানা
উপসর্গ :
মুখ .হাত -পা ও পাতা পায়ে পানি আসা ।
অবিরাম মাথা ব্যথা
চোখে ঝাঁপসা দেখা
আলোতে সংবেদনশিলোত
বুকের মাঝখানে ব্যথা
পেটে -ঠিক ডানদিকের বক্ষ – পিঞ্জরেআর
নিচে ব্যথা যা বেবির নড়া ছাড়া হয় ।
বমি বমি ভাব ।
পায়ে ঝি ঝি লাগা
প্রস্রাব কম হওয়া ।
ঝুঁকি সমূহ :
২১ বছরের আগে গর্ভধারণ
৩৫ বছরের পরে গর্ভধারণ
প্রথম গর্ভধারণ
আগে থেকেই উচ্চ রক্ত চাপ
গর্ভে একের অধিক বেবি (জমজ )
প্রিএকলাম্পশিয়ায় আগে ভুগে থাকলে
ডায়াবেটিস থাকলে
কিডনি রোগে ভূগোলে
শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থাকলে
প্রতিরোধ :
ঝুঁকি ফ্যাকটর এড়ানো
ক্যালশিয়াম ও এসপিররিন সেবন
প্রেসার কন্ট্রোলে রাখা
চিকিৎসা :
প্রেসার নিয়ন্ত্রন
Aspirin সেবন
ডেলিভারি করানো
ম্যাগনেসিয়াম সালফেট রক্তবাহী নালীতে দেওয়া ।
বেবির ফুসফুস পরিপক্ক করার জন্য steroid ইনজেকশন মাকে দেওয়া ।
চিকিৎসা না করলে কি কি সমস্যা হয় ?
মা এর –
প্রিএকলাম্পশিয়া
কিডনি ও লিভারের সমস্যা
লোহিতি রক্ত- কনিকা ভেংগে যাওয়া
অনূচক্রিকা (platelet ) কমে যাওয়া
ফুসফুসে পানি জমে স্বাসকস্ট হওয়া
রক্তক্ষরন বেশি হওয়া ।
রক্ত-জমাট না বাঁধা সিনড্রোম (DIC) হওয়া ।
বেবি –
কন ওজনের অপরিপক্ক বেবির জন্ম
স্বাসকস্ট
পেটে মৃত্যু IUD) বা জন্মের পর মৃত্যু