জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য জরায়ুতে CU- T(IUD)/কয়েল ব্যবহারের সফলতা .সুবিধা জটিলতা ও প্রতিকার
সফলতা -৯৯% এরও অধিক ।
সুবিধা –
জরায়ুতে প্রতিস্থাপনে অজ্ঞান করা লাগেনা ।
একবার প্রতিস্থাপনে একটানা ১০ বছর জন্ম নিরোধ হয় ।
ডেলিভারির সাথে সাথে নেওয়া যায় ; সিজারের সময় গাইনী সার্জন জরায়ুতে দিয়া দেন ।
শরীরে হরমোনের তারতম্য হয় না ।
ইচ্ছামত খুলে নেওয়া যায় ।
মহিলাদের হিসেব করতে হয় না ।
জটিলতা –
প্রতিস্থাপনকারী দক্ষ না হলে ও জীবানুমুক্ত পরিবেশে জরায়ুতে প্রয়োগে বেশ কিছু জটিলতা হতে পরে । জটিলতা গুলো –
* ইনফেক্শোন
* প্রতিস্থাপনের সময় জরায়ুর সঠিক স্থানে স্থাপিত না হওয়া বা জরায়ুর দেওয়াল ভেদ করা ।
CU- T গ্রহনকারী মহিলা পরিস্কার হতে .পরিছন্ন পরিবেশে CU -T এর সুতা চেক না করলেও ইনফেকশন হয় ।
কি করে ইনফেকশন বুঝা যাবে ?
তলপেটে ব্যথা হবে
দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব নির্গত হবে
জ্বর
কাঁপুনি
অতিরিক্ত ঘাম ঝরবে
বেশি রক্তক্ষরন হবে
ফোঁটা ফোঁটা রক্তও যেতে পারে ।
স্থানচ্যুত হওয়া ( CU- T জরায়ুর মাংসপেশীতে ঢুকে যাওয়া )/ বা জরায়ু থেকে বের হয়ে যাওয়া ;সাধারনতঃ এটা মাসিকের সময় বের হয়ে যেতে পারে ।
জরায়ু ফুটো ((perforation of uterine wall ) করে পেটের ভীতরে প্রবেশ করা ;এই দুর্ঘটনা ঘটলে পরিপাকতন্ত্রের বেশ কিছু জটিলতা যাতে না হয় সেজন্য তাড়াতাড়ি ডাক্তারের নিকট গিয়া ঘটনা খুলে বলতে হবে এবং পেট থেকে বের করা জরুরি । ল্যাপরোস্কোপি বা পেট কেটে কয়েল পেট থেকে বের করে ফেলতে হয় । তবে ল্যাপরোস্কোপি এর সাহায্যে বের করা রোগী ও সার্জন উভয়ের জন্য ভালো ।
এরকম পরিস্থিতি খুব কমই ঘটে কাজেই ভয় পেয়ে CU -T নেওয়া বন্ধ করা ঠিক হবেনা ; সতর্ক করার জন্য এসব লিখা।
বর্তমানে সিজারের সময় সার্জন জরায়ুতে কয়েল দিয়া থাকেন পার্টির অনুমতি সাপেক্ষে ।
জটিলতা প্রতিরোধ করার উপায়সমূহ :
Antibotic সেবনের পর খুলে ফেলা ।
জরায়ুতে দেওয়ার আগে ১ গ্রাম Azithromycin জটিলতা এড়ানোর জন্য সেবন করা ।
হাত ধুয়ে সুতা চেক করা ।
দক্ষ সেবাদানকারী দ্বারা CU-T প্রয়োগ করা ।
পরিছন্ন পরিবেশে জীব্স্নুমুক্ত যন্ত্র ব্যবহার করা ।
ডাঃ নুরজাহান বেগম
সহযোগী অধ্যাপক (বন্ধ্যাত্ব ও প্রজনন)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়