গর্ভবতী নারীরা ডেঙ্গুর মহামারী ছোবল থেকে বাঁচার জন্য তাঁর . বাড়ির সদস্যরা এবং প্রতিবেশীরা কি কি সতর্কতা অবলম্বন করবেন । ডেঙ্গু হলে মা ও বাচ্চার কি কি ক্ষতি হতে পারে ?
আমরা এতদিনে আনেকেই জেনে গেছি যে .ডেঙ্গু ভাইরাস দিয়া হয় এবং এই ভাইরাস বহনকারী এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু একজন থেকে আরেজনে সংক্রামিত হয় । সুতরাং .সহজেই বুঝা যায় – উক্ত মশা নিধন ও এর বংশবিস্তারের জায়গাগুলো নিশচিহ্ন সহ ডেঙ্গু সংক্রমিত ব্যক্তি থেকে দূরে থাকলেই শুধু গর্ভবতী নয় অনেকেই এই জীবনাশী ডেঙ্গু থেকে মুক্তি পাবো ।
এডিস মশা রাতে কামড় দিবেনা তা ণিস্চিত না তবে ঐ মশা সূর্য উঠা – ডুবার ২ ঘন্টা পরে ও আগে অর্থাৎ মিস্টি রোদে যখন আমরা স্বছন্দে চলাফেরা করি তখনই কামড়াতে বেশি মরিয়া হয়ে যায় । দিনের অন্য সময়তেও কামড়াতে পারে । .
এই মশা বংশবিস্তারের জন্য ডিম পাড়ে বদ্ধ – স্বচ্ছ পানিতে .যেমন ; ফুলদানির পানিতে .টবের পানিতে .ছাদের বাগানের পানিতে .এসির পানিতে . এবং পরিত্যক্ত কৌটা / টিন .পলিথিন ব্যাগ যানবাহনের টায়ারে রাবার জাতীয় জিনিসে জমে থাকা পানিতে ।
সরকারকেও মশানাশক ঔষধ সারাদেশে ছড়াতে হবে । বর্জ নিস্কষোনের . জোর পদক্ষেপ নিতে হবে ।
প্রতিটি বাড়ি পাড়া ও দেশ পরিস্কার থাকলে আমরা ডেঙ্গু থেকে রেহায় পাবো ; অকালে জীবন ঝরে পড়বেনা ।
ডিম পাড়ার ৩/৪ দিন পর ডিম থেকে শুক্কিট (লার্ভা ) বের হয় যা শ্রীঘ্রই পরিপূর্ন এডিস মশায় রূপান্তরিত হয় । কাজেই. বংশবিস্তার
রোধ করতে হলে ডিম পড়ার জায়গাগুলো বাড়ি ও আশে – পাশের জায়গা থেকে অপসারন করতে হবে .সাথে সাথে প্রতিটি বাড়ির বদ্ধ পানিগুলো ফেলে দিয়া ঘষে -মেজে পরিস্কার করতে হবে ।
মে মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এ অভিযান চালাতেই হবে । দিনের বেলাতেও মশারি ব্যবহার করতে হবে । সবচেয়ে ভালো বাড়ির দরজা – জানালা ও বেল্কুণিতে নেট
ব্যবহার করা ।
যিনি মশায় কামড়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন তাঁকেও মশারির মদ্ধ্যে রাখতে হবে .কারন তাঁকে কামড়ানোর পর মশা অন্য কাওকে কামড়ালে ভাইরাস সংক্রমিত হবে । যিনি আক্রান্ত ব্যক্তির সেবা করবেন তাঁকে
মশা নশোক রেপিলেন্ট .লোশন ক্রিম ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে ।
গর্ভবতীকে ডেঙ্গু রোগীর সংগ ত্যাগ করতে হবে .তাঁর রেপিলেন্ট লোশন ক্রিম ব্যবহার না করায় উত্তম । তাঁকে জমে থাকা পানি থেকে দূরে থাকতে হবে ।
প্রেগনেন্সি -জনিত সমস্যাগুলি হচ্ছে –
প্রথম ৩ মাসে গর্ভপাত .সময়ের আগে প্রসব
পেটে বাচ্চা মারা যাওয়া. .হওয়ার পর পরই বাচ্চা মারা যাওয়া বিকলাঙ্গ ও কম ওজোনের বেবি জন্ম নেওয়া ইত্যাদি।
গর্ভবতী মাও অন্য ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর মতো ভুগতে পারেন । জীবন নাশেরও ভয় থাকে । তাই আমরা সবাই সচেতোন হই এবং অন্যদের সচেতোন করে ডেঙ্গু থেকে বাঁচার জন্য ।