একলাম্পশিয়া(পর্ব ২)
একলাম্পশিয়াকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে ?
চিকিৎসা বিজ্ঞানে একলাম্পশিয়াকে ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছে
১।মৃদু -ব্লাডপ্রেসার ১৪০/৯০ বা তার বেশি কিন্তু ১৬০/১১০এর কম ।
৩। প্রকট – ব্লাডপ্রসার ১৬০/১১০ এর বেশি ।
খিঁচুনি হলে বাচ্চার কি কোন ক্ষতি হয় ?
হা
কি ক্ষতি হয় ?
খিঁচুনি চলাকালে বাচ্চা ঠিকমতো
অক্সিজন পায়না বলে পেটেই মারা যেতে পারে ।
মায়ের কি ক্ষতি হয় ?
১। ফুসফুসে পানি জমে (pulmonary oedema) .ফলে স্বাসকস্টে ভুগেন
২। ব্রেনে রক্তক্ষরন হয়ে অজ্ঞান হন ;পরবর্তীতে জ্ঞান নাও ফিরতে পারে
৩। কিডনি অকেজো (kidney failure ) হয়
৪। লিভার কাজ করতে পারেনা
৫ ।হার্ট অ্যাটাক
এককথায় বিভিন্ন জটিলতায় মা এর মৃত্যু ঘটে সাথে সাথে সঠিক চিকিৎসা না করলে
‘
খিচুনী হলে রুগীকে কোথায় নিতে হবে ?
নিকটবর্তী হাসপাতালে ।
খিঁচুনি প্রতিরোধের জন্য কি কি করা দরকার?
ঝুকিপূর্ন গর্ভবতীকে প্রসব পূর্ব এবং প্রসব পরবতী যত্ন নিতে হবে
প্রিএকলাম্পশিয়ার চিকিৎসা ও নিবিড় পর্যবেক্ষন জরুরি ।
সব ভিজিটে ব্লাডপ্রসার মেপে প্রেসার নিয়ন্ত্রনের মেডিসিন খেতে হবে
সব ভিজিটে প্রস্রাবে প্রোটিন এর উপস্থিতি ও মাত্রা দেখতে হবে
গর্ভবতীআর ওজন স্বাভাবিকভাবে বাড়ছে কি না সে ব্যাপারে সংশিস্নষ্ট ডাক্তারকে খেয়াল রাখতে হবে ।
প্রোটীন খাবার বেশি খেতে হবে ।
সর্বোপরি গর্ভকালীন পুসটি .বিশ্রাম এবং প্রশান্তি নিস্চিত করতে হবে ।
বাংলাদেশে শতকরা ১১ জন নারী মৃত্যুবরন করে একলাম্পশিয়ার কারনে ।
সুতরাং .পরিবার ও সমাজের জনগনের একলাম্পশিয়া সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে এবং সচেতনতা কাজে লাগাতে হবে ।
খিঁচুনি কি বন্ধ করা যায় ?
হাঁ
কিভাবে ?
ব্লাডপ্রেসার কন্ট্রোল এর ইনজেকশন
এবং magnesiam sulphate ইনজেকশন দিয়া ।
খিঁচুনির আগে এ ধরনের গর্ভবতীর আর কোন সমস্যায় ভুগে ?
হা সমস্যাটা কি ?
HELP Syndrome .
এ সিনড্রোমে কি হয় ?
রক্তের লাল কনিকা কমে
platelet কমে
লিভারের এনজায়েম বাড়ে
প্রেসার বারে ।
এ সিনড্রোম হলে কি করতে হয় ?
শরীরে প্লেটেলেট দিতে হয় এবং বাচ্চা ডেলিভারি করাতে হয় ।
এ সিনড্রোমের ঝুঁকি কি ?
ডেলিভারির পর রক্ত জমাট না বাধার জন্য প্রচুর রক্তক্ষরন হয় ।
ডাঃ নুরজাহান বেগম
সহযোগী অধ্যাপক (বন্ধ্যাত্ব ও প্রজনন)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়