থ্যালাসেমিয়া- পর্ব ২
থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত শিশু পরিবার. সমাজ এবং দেশের বোঝা না হওয়ার ব্যবস্থা সমূহ :কিছু কিছু দেশে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত শিশুর জন্ম না হওয়ার জন্য বিবাহের আগে হবু দম্পতির হেমোগ্লোবিন ইলেক্ট্রোফোরেসিস বাধ্যতামূলোক করা হয়েছে এবং সাথে সাথে
২ জনই বাহক হলে বিবাহ নিসিদ্ধকরনের আইন রয়েছে ।
আমাদের দেশে ( বাংলাদেশে ) সরকারি হাসপাতালে সরকারি উদ্দ্যোগে থ্যালাসেমিয়া নির্নয়ের ফ্রী টেস্ট করা হয় ।
গর্ভের শিশু থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত কি না তা জানার পরীক্ষাগুলো হচ্ছে —
* CVS(chorion villous sampling )- এই পদ্ধতিতে সূঁচের (needle) সাহায্যে গর্ভফুল থেকে কিছু টিসু নিয়া পরীক্ষা করা বুঝা যায় গর্ভস্হ শিশুটি থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত কি না —–
* এমনিওসিনটেসিস- উক্ত পদ্ধতিতে শিশুর থলে থেকে তরল (এমনিওটিক ফ্লুইড ) বের করে টেস্ট করা হয় ।
* Fetal Blood ssmpling
Test গুলো করার পর থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত শিশু ধরা পড়লো গর্ভপাত করা হয় ।
গর্ভপাতের ঝামেলা এড়ানোর জন্য টেদ্টটিউব বেবি নেওয়া যায় । জরায়ুতে ভ্রুন প্রতিস্থাপনের আগে PGD test (ভ্রুন থেকে কিছু টিসু নিয়া পরীক্ষ করে যে ভ্রূণে থ্যালাসেমিয়ার জিন নাই সেটি জরায়ুতে স্থাপন করা হয় ।
ডাঃ নুরজাহান বেগম
সহযোগী অধ্যাপক (বন্ধ্যাত্ব ও প্রজনন)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়