থ্যালাসেমিয়া-পর্ব ১
থ্যালাসেমিয়া বললেই শুধু রক্তের রোগ বুঝায় না ;উক্ত রোগের বাহকও হতে পারে
থ্যালাসেমিয়া হচ্ছে রক্তের লোহিত কণিকার হেমোগ্লিবিনের গঠনগত ত্রুটি যা পরিবর্তিত জিন (chrosome) এর জন্যই জন্মশূত্রে বংশপরষ্পরাই চলমান থাকে ।
হেমোগ্লিবিন শরীরের সমস্ত টিশুতে অক্সিজেন সরবরাহ করে শক্তি যোগান দেয় ।
ত্রুটি পূর্ন হেমোগ্লিবিনের কারনে লোহিত কনিকা খুব তাড়াতাড়ি ভেংগে যায় (৯০বা ১২০ দিনের আগেই ) বলেই রক্তশূন্যতা এবং .জন্ডিস হয় ।
রক্তশূন্যতার জন্য শরীর অত্যধিক দুর্বল হয় ; কাজের স্প্রিহা ও ক্ষমতা লোপ পায় ।
থ্যালাসেমিয়া রোগ হলে বার বার শরীরে রক্ত পরিসঞ্চালন করে বেঁচে থাকতে হয় আর বাহক হলে কিছু উপসর্গ থাকেনা ।
রক্তের হেমোগ্লিবিন এলেক্ট্টোফোরেসিস( Hb electrophoresis ) করে রোগী ও বাহক নির্নয় করা যায় ।
বাহকে-বাহকে বিবাহ হলে ২৫% রোগাক্রান্ত. বেবি ..২৫% নরমাল এবং ৫০% বাহক বেবি জন্ম নিতে পারে ।
পক্ষান্তরে .বাহক এবং নরমাল বিবাহ হলে একটারও থ্যালাসেমিয়া হবেনা ; তবে এই রোগের বাহক হবে ।
পুরুষ বা মহিলা যে কেও বাহক হতে পারেন ।
বিবাহের আগেই টেস্ট করা ভালো; বিয়ার পর গর্ভধারণের পূর্বে পরীক্ষা করাই শ্রেয় : ।
গর্ভধরনের পর ভ্রুনের কিছু টেস্ট এ থ্যালাসেমিয়া ধরা গেলে থেরাপিউটিক গর্ভপাত পার্টির সিধান্ত এ করা যায় ।
আসুন আমরা থ্যালাসেমিয়া সম্বন্ধে সচেতন হই ।
ডাঃ নুরজাহান বেগম
সহযোগী অধ্যাপক (বন্ধ্যাত্ব ও প্রজনন)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়