৪৫ বছরের বেশি বয়সে মোলার প্রেগনেন্সি হলে এবং ফ্যামিলী কমপ্লিট থাকলে চিকিৎসা হিসেবে বেছে নিতে পারেন উক্ত প্রেগনেন্সি সহ সম্পূর্ন জরায়ু ফেলে দিতে :
মিসেস রাহেলা .বয়স ৪৬ বছর. ৩ সন্তানের মা .. বড় সন্তানের বয়স ২৮ বছর এবং ছোটো সন্তানের বয়স ১৯ বছর ।
তিনি অপরিকল্পিতভাবে গর্ভধারণ করেন ;৩ মাস পূর্ন হবার আগেই তিমি বহুবার অল্প অল্প করে রক্তপাত হতে দেখেন এবং প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত বমি করে অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েন । স্বামীর উপার্জন না থাকায় তিনি গ্রাম্য অনেকজন ডাক্তারের শরনাপন্ন হন । ডাক্তারগণ USG করান । রিপোর্টে মোলার প্রেগনেন্সি বলা
হলে আমার কাছে আসেন । শারীরিক পরীক্ষায় বুঝা গেলো .রক্ত ও পানি শূন্যতা এবং রক্তে লবনের অসমতা(electrolyte imbalance );হেমোগ্লোবীন এর মাত্রা মাত্র ৭%—packed cell দেওয়া জরুরী । সাথে অনেক লোক থাকলেও কেউ রক্ত দানে রাজী নন । তাঁকে সরকারি হাসপাতালে স্থানানতোর করলামএচ ॥ cc পার্টিকে কাউন্সিলিং করে ;পার্টি জোর আপত্তি জানালো এবং রোগী যাতে বাঁচেন সে চিকিৎসা শুরুর আবেদন করলেন । নিরুপায় হয়ে বড় একটি হাসপাতালে তাঁর জরায়ু (আংগুর দানার মতো অগনিত সিস্ট সহ )খুব তাড়াতাড়ি ফেলে দিলাম ;
রক্তপাত কম হওয়ার সতর্কতা অবলম্বন করলাম ।
আল্লাহর রহমতে রোগী ভালো আছে ।
এ প্রেগনেন্সতে জরায়ু ফেলার সুবিধা ::
- রক্তপাত কম হয়
*মোলার টিসুর বোহিআক্রোমোন থাকেনা ।
- তবে ফলো আপে থাকতে হবে কারন GTT থেকে মুক্তি পেতে ।
যাঁরা জরায়ু রাখতে চান এবং বাচ্চা নেওয়া প্রয়োজন তাঁদের জরায়ু থেকে মোলার টিসু suction evacuation করে বের করে ফলো আপ করতে হয় এবং ডাক্তারের পরামর্শে গর্ভধারণ করতে হয় ।
নিচে রাহেলার জরায়ু ও আংগুর দানার মতোই সিস্টের ছবি দেওয়া হইলো ।
ডাঃ নুরজাহান বেগম
সহযোগী অধ্যাপক (বন্ধ্যাত্ব ও প্রজনন)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়