নারীরা হাইপোথারয়েডে ভোগলে গর্ভধারণের আগে ও গর্ভাবস্থায় কি কি অসুবিধা হয় এবং করনীয় নিয়া কিছু তথ্য :
আগে জেনে নিই হাইপোথায়রয়েড / হাইপোথাইরয়ডিজ কি –
আমাদের গলার সামনে অবস্থিত থাইরয়ড গ্রন্থির হরমোনের স্বল্পতাকে (স্বাভাবিকের চেয়ে কম ) হাইপোথায়রয়েড/ হাইপোথাইরয়ডিজ( Hypothyroidism) বলে ।
শীত
উপসর্গগুলো কি কি ?
শীত শীত ভাব / শীতকাতুরে
অত্যধিক ক্লান্তিবোধ
সমস্ত শরীরে ব্যথা
শরীরে পানি আসা / শরীর ফুলে যাওয়া
ঘুম ঘুম ভাব
কোস্টকাঠিন্য
চুল পাতলা হওয়া বা পড়ে যাওয়া
ত্বক খসখসে হওয়া
কর্মে অনীহা / দেরিতে কাজ সম্পাদন করা ঘন ঘন বা বেশি পরিমানে মাসিক হওয়া
কম লম্বা (বেঁটে ) হওয়া
গর্ভধারণে ব্যর্থ হওয়া
হাইপোথাইরয়ডিজ নির্নয় :
রক্তে – TSH. .FT4 .এবং FT3 এর মাত্রা দেখা ।
করনীয় :
হরমোন বিশেষজ্ঞ / স্ত্রী বিশেষজ্ঞ/ নিঊক্লিয়ার
বিশেষজ্ঞকে দেখানো জরুরী ।
গর্ভধারণের আগে মাত্রা কত হলে ভালো ?
৩ বা ৩ এর সামান্য নিচে ।
গর্ভাবস্থায় কখন কখন থায়রয়েড হরমোনের মাত্রা চেক করা ভালো ?
গর্ভকালীন প্রথম ভিজিটে (গর্ভের ৬ সপ্তাহের মধ্যে হলে ভালো ); মাত্রা ঠিক হলেও ৩ মাস পর পর এবং ডাক্তার এর উপদেশ মোতাবেক ৬ সপ্তাহ পর পর ও টেস্ট করতে হতে পারে ।
কেন এ হরমোনের মাত্রা গর্ভাবস্থায় ঠিক রাখতে হয় ?
গর্ভজাত সন্তানের বৃদ্ধি ঘটেনা
মানষিক প্রতিবন্ধী শিশু জন্ম নেয়
হাইপোথাইরোযেড (congenital hypothyroidism) নিয়া বাচ্চা জন্ম নেয়।
প্রসবের পর মায়ের প্রচুর রক্তক্ষরন (post partum haemotrrhage /pph ) হয় ।
থাইরোয়েড ক্রাইসিস ও হতে পারে । এটি জীবনের ঝুঁকিপূর্ন অবস্থা ।
চিকিৎসা :
থাইরোক্সিন ট্যাবলেট খেতে হবে ।
মাত্রা কি হবে ?
শরীরে (রক্তে )থাইরোক্সিন হরমোনের ঘাটতি অনুযায়ী ডাক্তার ঔষধের মাত্রা ঠিক করে দিবেন ।
ডাঃ নুরজাহান বেগম
সহযোগী অধ্যাপক (বন্ধ্যাত্ব ও প্রজনন)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়