গর্ভাবস্থায় হাম / রুবেলা (জার্মানস মিজিলস /German’ Measles

গর্ভাবস্থায় হাম / রুবেলা (জার্মানস  মিজিলস /German’ Measles

রুবেলা  হচ্ছে  ভাইরাসজনিত  সংক্রানামোক   (ছোঁয়াচে )  ব্যাধি ।

গর্ভাবস্থায়  রুবেলা  মা – বাচ্চা  উভয়ের  জন্য  বিপদজনক ।

কিভাবে  এ  রোগ  ছড়ায় ?

 রুবেলা  সংক্রমিত  রুগীর  হাঁচি – কাশির  মাধ্যমে ।

লক্ষনগুলো  কি কি ?

সর্দি -কাশি

নাক  দিয়া  পানি  ঝরা

২ চোখ  লাল  হওয়া

জ্বর

মাথা  ব্যথা

গলা  ব্যথা

গ্রন্থি  (Lymph  Node) ফুলে  যাওয়া  ও ব্যথা  করা ।

শরীর  (সমস্ত ) ব্যথা

লালচে  ফুশ্কুরী /গোটা (rash ) ওঠা -মুখে .বুকে .পেটে .পিঠে .হাত-পায়ে ।  এই  ফুসকুড়ি  দেখে  রুবেলা  সহজে  সনাক্ত  করা   যায় ।

গিরায় ব্যথা ।

 ফুসকুড়ি  কতদিন  স্থায়ী থাকে ?

৩ থেকে  ৫ দিন ।

সংক্রামোন  ছাড়ায়  কখন:

ফুসকুড়ি  ওঠার  ১ সপ্তাহ  আগে  ও  ১ সপ্তাহ  পরে  ।

গর্ভবতীর  কি  অসুবিধা  হয় ?

 নিউমোনিয়া

হাত -পায়ে  অবশ  বোধ

অত্যধিক  দুর্বলতা

মিসক্যারেজ

অকাল  প্রসব (preterm labour) সম্ভাব্য  সময়ের  আগে  প্রসব ।

গর্ভস্থ  সন্তানের   কোন  সময়ে  ক্ষতি  হয় ?

গর্ভের  ১২ সপ্তাহের  মধ্য  সময়ে  আক্রান্ত  হলে  গর্ভস্থ  শিশুর  বেশি  ক্ষতি  হয় এবং  ২০ সপ্তাহের  পর  ক্ষতির  পরিমান  কমতে  থাকে ।

ক্ষতিগুলো  কি  কি :

ব্রেনে  প্রদাহ

চোখে  ছানি

বধির

হৃদরোগ

কম  বুদ্ধিমত্তা (হাবা -গোবা )/ বুদ্ধিগত  প্রতিবন্ধী

কম  ওজনের  বাচ্চা ।

পেটেই  মারা  যাওয়া  ।

প্রতিরোধ :

* গর্ভবতী  হওয়ার  কমপক্ষে  ১ মাস  আগে  রুবেলা  না  হওয়ার  জন্য  ভ্যাকসিন  নিতে  হবে  রক্তে  রুবেলার  antibody  (রক্তে  রুবেলা  প্রতিরোধ  ক্ষমতা ) এর  অস্তিত্ত  দেখে ।

* রুবেলা  রুগির  সংস্পর্শে  না  যাওয়া ।

*  গর্ভের আগে  রুবেলা  প্রতিরোধের টিকা  নেওয়া  না  থাকলে সন্তান  প্রসবের  পর  প্রসুতিকে  ভ্যাকসিন  নিতে  হবে ।

 গর্ভাবস্থায়  কি  রুবেলা প্রতিরোধের ভ্যাকসিন

নেওয়া  যায় ?

না ।

চিকিৎসা :

নির্ধারিত  কোন  চিকিৎসা  নাই;  কস্ট  কমানোর  জন্য  ব্যথানাশক  ঔষধ .পুস্টিকর  খাবার  ও  বিশ্রামের  ব্যবস্থা  নিতে  হবে ।

কিছুক্ষেত্রে  মাকে  antibiotic  দিতে  হয় ।

MMR Vaccine  ও  আমাদের  দেশে  ১২ মাস  বয়সের  পর  থেকে  নেওয়া  যায় -সরকারিভাবে  বিনা  পয়সায় ।

  আসুন  আমারা  সচেতন  হই – সময়মতো  টিকা  নিয়া  রোগ  প্রতিরোধ  করে  মা  ও  বাচ্চার  সুস্থ্যতা  ণিস্চিত  করি ।

ডাঃ নুরজাহান বেগম

সহযোগী অধ্যাপক (বন্ধ্যাত্ব ও প্রজনন)

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

Scroll to Top