৩৩ সপ্তাহের প্রেগনেন্সি চলাকালে মুমূর্ষ মায়ের প্রান বাঁচাতে সিজার ও ফলাফল :
অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ .ডায়াবেটিস. প্রস্রাবের স্বল্পতা ( সারাদিন দিন – রাতে মাত্র ২০০মিলি প্রস্রাব ).দুচোখে ঝাঁপসা দেখা. .সমস্ত শরীরে পানি (anasarca) .পেটের ভিতরে পানি পানির চাপে ত্বক ফেটে গিয়া ঘা . বুকে ব্যথা. .পেটে ব্যথা (epigastrc pain )এবং প্রচন্ড মাথা ব্যথা সহ মাত্র ৩১ সপ্তাহের প্রেগনেন্সি নিয়া ল্যাব এইড এ ভর্তি হলেন ২৩ বছর বয়স্ক মিসেস আঁখি ।
পরীক্ষা করে আঁতকে উঠলাম এবং বড় সরকারি হাসপাতালে দ্রুত স্থানান্তরের পরামর্শ দিলাম জরুরি ম্যানেজমেন্ট দেওয়ার পর । আঁখি আমার মেয়ের সহকর্মীর ভাবি বিধায় সরাসরি আপত্তি জানালেন অন্যত্র না যাওয়ার ।
গোপালগঞ্জ থেকে আসা এই গর্ভবতীর নিকটতম আত্মীয় ও স্বামী শোকে বাকরুদ্ধ এবং অতীব ক্লান্ত ;ঢাকায় কেউ নেই । সব মিলিয়ে —
মানবিকতা মাথা উঁচু করলো ; রাত – দিন রোগীর পথ্য বাড়ানো – কমানো ও পরিবর্তনে নিজেকে বিলিয়ে দিলাম আঁখির সুচিকিৎসায়।
মহান আল্লাহর কৃপায় ৩৩ সপ্তাহে আঁখির সিজার করলাম । বেবি মাত্র ১৯০০ গ্রাম ;ওজন কম হলেও আপগার স্কোর ভালো । বেবি NICU তে ভর্তি আছে ।
। .গতকাল থেকে শিশুটিকে দুধ খাওয়ানো হচ্ছে ;আশা করি আগামীকাল বেবিকে
নিয়া আঁখি গোপালগঞ্জ নিজের বাসায় যেতে পেরে স্বস্তি পাবেন । আমিন ।
ডাঃ নুরজাহান বেগম
সহযোগী অধ্যাপক (বন্ধ্যাত্ব ও প্রজনন)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়