২৬ বছর বয়স্ক সাবিনা বিবাহের ৫ বছর উত্তীর্নের পর শেষ মাসিকের তারিখ হিসেবে ১২ সপ্তাহের প্রেগন্যান্সী নিয়ে গ্রাম্য ডাক্তার এর শরনাপন্ন হন।ডাক্তার তার USG করান। USG রিপোর্টে বলা হয় ভ্রূণের হ্নদস্পন্দন অাসে নাই । এই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে ডাক্তার তাকে D&C করার পরামর্শ দেন। রোগী আমার মতামত জনার জন্য USG রিপোর্ট নিয়ে আসে নাই । USG এর ছবিতে বাচ্চার থলে এবং ভ্রুনের বেশকিছু কোষ দেখা যাচ্ছিলো । গর্ভে সন্তান ধারনের আগে তার মাসিক অনিয়মিত ছিল(১ ১/২ -২ মাস পর পর) যাদের মাসিক অনিয়মিত তাদের ডিম্বাণু পরবর্তী মাসিক শুরুর ১৪ /১৫ দিন অঙ্গে মুক্ত হয় বলে শেষ মাসিকের ১ম দিন থেকে প্রেগন্যান্সী সময়কাল গননা করলে ভূল হয়। এহেন পরিস্থিতিতে বাচ্চার হ্নদস্পন্দন না আসলেও ২ সপ্তাহ অপেক্ষা করা বান্ছনীয়। ২ সপ্তাহ অপেক্ষার পর সাবিনা USG করান ; আনন্দের সাথে তিনি আজ বললেন – বাচ্চার হ্নদস্পন্দন এসেছে। নূতম সৃষ্টির উল্লাসে সাবিনা এখন দুঃশ্চিন্তা মুক্ত হয়েছেন । সুতরাং গর্ভে বাচ্চা আসলে এবং কোন সমস্যা (যেমন বেশী বেশী রক্ত যাওয়া) না থাকলে USG রিপোর্ট দেখে D&C, MM- kit বা গর্ভপাতকের কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা ঠিক হবে না।এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এর পরামর্শ অবশ্যাই নিতে হবে।
উল্লেখ্য যে USG মেশিন ও সনোলোজিষ্ট এর উপর ও রিপোর্টের মান নির্ভর করে। আজকাল বাংলাদেশের আনাচে কানাচে 2D USG মেশিনে নন -মেডিক্যাল Person অহরহ ভুল রিপোর্ট পেশ করেন। এ বিষয়টি মাথায় রাখা দরকার।
ডাঃ নুরজাহান বেগম
সহযোগী অধ্যাপক (বন্ধ্যাত্ব ও প্রজনন)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়