শুধিবৃন্দ .মেয়েদের সাদাস্রাব নিযে আমরা যত উদ্বিগ্ন থাকি সবক্ষেত্রে .এ উপসর্গ কিন্তু বিশেষ কোনো রোগের নয় ।
১ ।মেয়ে নবজাতকের যোনিপথ দিযে যে স্রাব যাই তা সাভাবিক । আপনারা শুনে অবাক হবেন যে মাসিকের মতো রক্তও দেখা দেই -এরকম হলে ঘাবড়াবেন না বরং ণিস্চিত হবেন যে মেয়েটির জরায়ু ও যোনিপথ ঠিক আছে ।
২ । মেয়ে শিশু যখন কিশোরী ও যুবতী হতে চলে তখন সাদা স্রাব এর আবির্ভাব ঘটে -য়া সম্পূর্ন নরমাল ।
৩ । প্রেগন্যান্ট মহিলার – বাচ্চা প্রসবের সময় এগুতে থাকলে যোনিপথে স্রাব এর আধিক্য ঘটে ;এটিও সাভাবিক ।
৪। ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বানু মুক্ত হওয়ার সময় ও কযেকদিন আগে সাদা স্রাব পরিলক্ষিত হয় -যাও নরমাল ।
৫। সহবাস বা যৌনউত্তেজনা হলে সাভাবিক সাদা স্রাব যোনিপথে নির্গত হয় ।
মহিলারা অপুস্টিতে ভুগলে সাদা স্রাব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য পুস্টিকর খাবার খেতে হবে ।
অপরিস্কার থাকলে এবং মাসিকের সময় নংরা ন্যাকড়া ব্যবহার করলে অতিরিক্ত সাদাস্রাব সাস্থ্যসম্মত নয় । পরিছন্ন থাকতে হবে ।।
ছোট শিশু খেলার ছলে কিছু বস্তু যোনিপথে না বুঝে প্রবেশ করলে আ লক্ষন দেখা দিলে দেরি না করে ডাক্তার দেখবেন ।
যোনিতে ভুলবশতঃ কনডমের অংশ বা ট্যাম্পুন থাকলে অতিরিক্ত সাদা স্রাব হলে -সেগুলি বের করে ফেলুন ।
স্রাবের রং সাদা না হয়ে – লালচে সবুজ, হালকা হলুদে,ফেনা ফেনা, ছানার মতো দুর্গন্ধযুক্ত এবং সাথে মেয়েদের বোহি: যৌনাওংগে চুলকানী
ফুস্কূরি বা ঘা ও জালাপোড়া.সহবাসে ব্যথা প্রস্রাবে জালা পোড়া তলপেটে ব্যথা থাকলে এবং ফুলে লাল হলে অসাভাবিক বলে গন্য হবে ।
উক্ত সমস্যা গুলো বিভিন্ন ধরনের জীবানু সংক্রমনের ফলে ঘটে । জীবানুগুলোর কিছু কিছু যৌনবাহিত । কাজেই নিরাপদ সহবাসই সবার কাম্য ।
উপসর্গগুলি বুঝে ঝটপট ডাক্তার দিয়া শারীরিক পরীক্ষাসহ ল্যাব টেস্ট করতে হবে এবং মেডিসিন খেতে ও ব্যবহার করতে হবে । ব্যক্তিগত পরিস্কার পরিছন্নতার দিকে নজর রাখতো হবে । সুতি ও পরিস্কার অন্তর্বাস পরিধান করতে হবে । যাঁরা অনিয়েনত্রিতো ডায়াবেটিস এ ভুগছেন antibiotic খাচ্ছেন তাঁরা এসমস্ত অসুবিধায় পড়তে পারেন । নিরাশ হবার কিছু নেই সবই নিরাময়যোগ্য ।
অতিরিক্ত সাদা স্রাব কোন কোন সময় জরায়ুর মুখের ক্যান্সার শুরুর আগে হয়ে থাকে । বহুগামী মহিলা বা তাঁর হাজবেন্ড বহুগামী হলে বা হাজবেন্ড এর আগের সঙ্গিনী জরায়ুর মুখের ক্যান্সার এ ভুগলেও টেস্ট করা জরুরি ।
ডাঃ নুরজাহান বেগম
সহযোগী অধ্যাপক (বন্ধ্যাত্ব ও প্রজনন)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়