পেরিনিয়াল টিয়ার (Perineal Tear ) রোগ না ; স্বাভাবিক প্রসবজনিতো (Normal Delivery )জটিলতা যা সহজে প্রতিরোধ যোগ্য এবং চমৎকার / সফল চিকিৎসা রয়েছে । শল্য চিকিৎসায় ১০০% সমাধান আনতে পারে :
পেরিনিয়াম কি ?
মেয়েদের পায়ুপথ ও যৌনপথের মধ্যোবর্তী স্থানকে পেরিনিয়াম বলে ।
অনভিজ্ঞ ব্যক্তি দিয়া প্রসব/নরমাল ডেলিভারি করালে সাধারনতঃ প্রসবের সময় প্রসূতির যোনিপথ ও পায়ুপথের মধ্যোবর্তী জায়গা ছিঁড়ে যাওয়াই হচ্ছে পেরিনিয়াল টিয়ার। 1অনেক সময় প্রসূতির প্রসব পথ ও পায়ু পথ ছিঁড়ে এক হয়ে যায় । এ অবস্থাকে Complete Perineal Tear বলে ।
মাত্রা – পেরিনিয়াম ছেঁড়ার ধরন অনুযায়ী ৩ রকমের হয় ; যেগুলোকে ডাক্তারি ভাষায় ডিগ্রি বলা হয় ।
যেমন -ist 2nd ও 3rd degree
.ist ডিগ্রি হলে সেলাই লাগেনা ;ড্রেসিং ও সামান্য যত্নেই ঠিকঠাক হয়ে যায় ।
2nd এবং 3rd ডিগ্রী হলে রক্তক্ষরন হয় এবং শল্য চিকিৎসা লাগে ।
এহেন অবস্থায় রোগীকে রক্ত দেওয়া লাগতে পারে এবং অবশ /অজ্ঞান করে সেলাই দিতে হয় ।
সবচেয়ে ভালো হচ্ছে .তাৎক্ষনিকভাবে . রোগীর প্রচুর রক্তক্ষরন বন্ধ ও পূরন করে সেলাই দেওয়া জরুরী । ঘটনার ৭২ ঘন্টার মধ্যে অবশ্যই সেলাই দেওয়াতে হয় ।
এ সময়ের মধ্যে সেলাই না দিলে ডেলিভারির ৩ মাস সম্পূর্ন হলেই দিতে হবে ।
দেরি করলে বা বার বার জোড়া না লাগলে জোড়া না লাগার ঝুঁকি বেড়ে যায় । সুতারাং কোন প্রকার কুসংস্কারে আচ্ছন্ন না হয়ে ভালো ডাক্তার দ্বারা সেলাই করাতে হবে যত
তাড়াতাড়ি সম্ভব । বেশ কিছু নিয়মও মানতে হয় ।
প্রসবপরবর্তী সময়ে সেলাই দিলে খুব বেশি প্রস্তুতির দরকার পড়েনা ; তবে ৩ মাস বা পরে সেলাই করলে প্রস্তুতি হিসেবে রোগীকে কিছু নিয়ম _
যেমন তরল খাবার অপারেশনের ৩ দিন আগে থেকেই খেতে হবে;
পায়খানা যেন শক্ত হয়ে মলদার ভরাট (loaded ) না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে । অনেক সময় এন্টিবাইওটিক ও খেতে হতে পারে ।
. অপারেশনের আগে -পরে স্যালাইন নিতে হয় এবং তরল খাবার খেতে হয় ।
পেরিনিয়াল টিয়ার সেলাই (Repair) না করলে কি কি অসুবিধা হয় :
মল ((stool ) মাসিকের রাস্তা দিয়া বের হয়
(3rd ডিগ্রী ) হলে ।
পাতলা পায়খানা ধরে রাখতে পারা যায়না ।
মাসিকের রাস্তা দিয়া বিকট আওয়াজ বের হয় ।
সহবাসে অসুবিধা হয় ।
জরায়ু নামার ভয় থাকে ।
সচেনতা .সামান্য সতর্কতা / অভিজ্ঞ ব্যক্তি দিয়া হাসপাতালে ডেলিভারি করলে জটিলতা এড়ানো সম্ভব ।
পক্ষান্তরে জটিলতা হলে সঠিক সময়ে অভিজ্ঞ ডাক্তার দিয়া সেলাই করাতে হবে এবং নিয়ম মেনে চলতে হবে ।
পেরিনিয়াল টিয়ারের
রোগীরা শাশুড়ি স্বামী দ্বারা অবহেলিত হতে থাকেন।
অনেক সময় স্বামী তালাক দেন । সচেনতার অভাবে অস্বাভাবিক অবস্থার সৃস্টি হয় । সুতরাং .জনগনকে সচেতন করার জন্য অনুরোধ রইলো ।