পর্ব -২
গর্ভাবস্থায় পানি ভেংগে যাওয়া সম্বন্ধে কিছু তথ্য :
ধরন –
১। ফোঁটাই ফোঁটাই পানি (এমনিওটিক ফ্লুইড ) ধীর গতিতে চুইয়ে পড়া । বাচ্চার থলে ফুটো হলে(leaking membrane ) পানি এভাবে ভাংগে ।
গর্ভের যেকোনো সময় এটি হতে পারে ;এমনটি ঘটলে বাড়িতে বসে থাকা যাবেনা – হাসপাতালে যেতে হবে । Antibiotic .
বেবির ফুসফুস পরিপক্ক করার ইনজেকশন .প্রসবের সময় না হয়ে থাকলে প্রসব বেদনা শুরু না হওয়ার ঔষধ দেওয়া লাগে । এ ধরনের পানি ভাংগা – বেবি প্রসবের সময় হলে চিন্তার কোন কারন নেই – ১২ থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রসব বেদনা উঠে এবং বেবির পজিশন .ওজন .মায়ের নরমাল প্রসব হওয়ার সব উপাদ্য ঠিক থাকলে নরমাল ডেলিভারি আশা করা যায় ।
ডাক্তার পরিক্ষা করে সিধান্ত দিবেন নরমাল ডেলিভারি বা ডিজরের ।
২। বেবির থলে ফেটে গেলে তড়িৎ গতিতে একসাথে অনেক পানি বের হয়ে আসে । এক্ষেত্রে প্রেগনেন্সি চলমান রাখা যাবেনা – গর্ভের যে সময়ে হোক । এক্ষেত্রে ডেলিভারি করতেই হবে । বেবি বাঁচার সম্ভাবনা না থাকলে সিজার না করে নরমাল ডেলিভারির চেস্টাই শ্রেয় ।
পানি ভাংগা মাত্রই রোগীকে antibitic দিতে হবে এবং ইনফেকশন হলো কি না সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে ।
সব পানি জরায়ু / এমনিওটিক স্যাক থেকে বের হলে বেবির পুস্টি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয় ..জরায়ু সংকুচিত হলে বেবির উপর বার বার প্রেসার পড়ে ..বেবি স্বাছন্দে জরায়ুর মধ্যে চলাচল করতে করতে পারে না । আবরন না থাকায় বেবির ইনফেকশন হয় ।
এমনিওটিক ফ্লুইড বাচ্চা বেঁচে থাকা ও মায়ের প্রসব পদ্ধতিকে ত্বরান্বিত করতে । কাজেই .গর্ভবতীরা শুষম ও আদর্শ খাবার খাবেন এবং যেসব কার্যকলাপে পানি ভাংগার ঝুঁকি থাকে সেগুলো এড়িয়ে চলবেন ।