ডায়াবেটিস নিয়া গর্ভধারণ .জটিলতা ও করনীয় :
ডায়াবেটিস কি ?
রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যাওয়াকে ডায়াবেটিস বলে ।
ডায়াবেটিস মহিলা কি গর্ভধারণ করতে পারবেন ?
হা ।
গর্ভধারনের আগে করনীয় কি ?
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে আনতে হবে ।
HbA1C করাতে হবে এবং মাত্রা ৬% এর মধ্যে থাকতে হবে ।
শর্করা কিভাবে নিয়ন্ত্রনে আনা যাবে ?
* জীবনযাত্রার পরিবর্তন
* খাদ্যাভাসের নিয়ম – নীতি পালন. খাবারের
অদল -বদল (চিনি .চর্বি ও তেল এড়াতে হবে )
* শরীরচর্চা / হাঁটা
* প্রয়োজনে ইনসুলিন নেওয়া ।
বাচ্চারা জন্মগত ত্রুটিগুলি :
*বাচ্চার মাথার খুলি ও মস্তিস্ক তৈরি না হওয়া / এনেনকেফালি (anancephaly)
অনাহারে থেকে কি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখতে হয় ?
না ।
দিনে মোট কতো বার খেতে হবে ?
৬ বার ; ৩ বার মুল এবং ৩ বার হালকা (snaks) খাবার ।
খাবারের সময়গুলো :
১। সকলের নাস্তা -সকাল ৮ টা
২ । হালকা খাবার -সকাল ১১ টা থেকে সাড়ে
১১ টার মধ্যে ।
৩। দুপুরের খাবার – দুপুর ২ টার সময় ।
৪। বিকালের হালকা খাবার -বিকাল ৫ টা বা সাড়ে ৫ টা ।
৫। রাতের খাবার -রাত ৮টা থেকে ৯ টার মধ্যে ।
৬। রাতের হালকা খাবার -শোবার ঠিক আগে (রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০ টার মধ্যে ।
দিনে কতক্ষন হাঁটতে হবে ?
৩০ মিনিট (স্বাভাবিক চলাফেরা ) ।
রক্তে সুগার পরীক্ষা কয়বার এবং কতদিন পর পর করতে হবে ?
দিনে ৪ বার ( সকালের নাস্তার আগে ও পরে .দুপুর এবং রাতের মূল খাবারের ২ ঘন্টা পরে )করা ভালো ?
রক্তে সুগারের মাত্রা দেখে ডাক্তার প্রতিদিন .৩ দিন পর পর বা সপ্তাহে ১ দিন রক্তে শর্করার মাত্রা দেখার পরামর্শ দিবেন ।
বাচ্চার জন্মগত ত্রুটি গুলো কি কি ?
হার্টের বড় বড় ধমনী – শিরার স্থান পরিবর্তন / বিনিময় (Transposition of Great vessels).
হার্টের এওরটা (aorta )নামক ধমনীতে খাজ থাকা (Coarctation of Aorts) – যা রক্ত সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটায় ।
হার্টে ফুটো /ছিদ্র (Atrial&Ventricular Septal Defect )
ঠোঁট কাটা (Cleft Lip)
তালু কাটা (Cleft palate )
পায়ু -পথ তৈরি না হওয়া (Imperforate Anus )
শরীরের উপরের অংশ ভালোভাবে তৈরি
হওয়া কিন্তূ নিচের অংশ কম তৈরি হওয়া(Caudal Regression Syndrome )
শিরদাঁড়ার/ মেরুদন্ডের কন্টক বিভক্ত হওয়া(Spina Bifida)
গর্ভবতীর জটিলতাঃ
প্রিএকলামপটিক টক্সেমিয়া (PET) -ব্লাড প্রেসার বাড়ে এবং প্রস্রাবে প্রোটিন আসে ।
পলিহাইড্রামনিওজ (Polihydrsmnios)
সময়ের আগে পানি ভাংগা (Leaking or Rupture Amniotic Membrane ) এবং প্রসব হওয়া (Preterm Labour )
বেশী রক্তক্ষরন হওয়া (Post partum Haemorrhage)
প্রসব পরবর্তী ইনফেকশন / জ্বর (pueperal sepsis/fever )
মেডিসিন (metformin ) সেবনে শর্করা নিয়ন্ত্রনে আসে তবুও কেন ইনসুলিন দেওয়া লাগে ?
ইনসুলিন শর্করা খুব ভালোভাবে নিয়ন্ত্রন করে ( Good Glycaemic Control)
উপদেশ : রুগীকে নিজে রক্তের শর্করা পরীক্ষা করা .ইনসুলিন দেওয়া শিখে নিতে হবে .পরীক্ষার যন্ত্র কিনতে হবে । মনে রাখতে হবে হটাৎ করে রক্তের শর্করা বৃদ্ধি হওয়া বা কমা ২ টোই নিজ জীবনের ও বাচ্চার জন্য মারাত্তোক ক্ষতিকর ;সুতরাং খাবার বন্ধ করবেন না .প্রয়োজনে ইনসুলিন বাড়াতে হবে Diabetologist এর পরামর্শে ।
ডাঃ নুরজাহান বেগম
সহযোগী অধ্যাপক (বন্ধ্যাত্ব ও প্রজনন)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়