গর্ভাবস্থায় পানি ভেংগে যাওয়া সম্বন্ধে কিছু তথ্য :
গর্ভাবস্থায় পানি ভাংগা কি?
গর্ভাবস্থায় বেবী. মায়ের তলপেটে অবস্থিত জরায়ুর মধ্যে তরল ভর্তি একটি থলেতে থাকে । এই তরল পদার্থকে মেডিক্যাল এর ভাষায় এমনিওটিক ফ্লুইড এবং থলেটিকে
এমনিওটিক স্যাক বলে । উক্ত থলে ফুটো হলে বা ফেটে গেলে তরল জরায়ুর মুখ ও যোনি পথ অতিক্রম করে বাইরে আসাটাই হচ্ছে পানি ভাংগা ।
থলে ফুটো হলে ফোঁটা ফোঁটা এবং ধীর গতিতে তরল বের হয় । পক্ষান্তরে . থলে ফেটে গেলে তড়িৎ বেগে একসাথে অনেক তরল বেরিয়ে পড়ে । প্রথম অবস্থাকে বলে লিকিংগ মেমব্রেন (leaking membrane )এবং দ্বিতিয় অবস্থাকে বলে প্রি লেবার মেমব্রেন রাপচার ।
বেবি প্রসবের সময়ের আগে উপরোক্ত অবস্থাগুলো মা – বাচ্চা উভয়ের জন্যই ঝুঁকিপূর্ন ।
ঝুঁকিগুলো কি কি ?
বেবির ঝুঁকি –
* বেবির ইনফেকশন
* অপুস্টি বেবি স্বাসকস্টে ভুগে এমনকি জন্মের পর বেশিদিন বাঁচেনা এবং বাঁচলেও মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে বেঁচে থাকে যা সেই বেবি ও পরিবারের জন্য কস্টকর ।
* বেবীকে NICU(শিশুর জরুরি পর্যবেক্ষন ইউনিট ) এ রাখা লাগে যা ব্যয়বহুল এবং সবাই এ সুবিধা অর্থের অভাবে নিতে ব্যর্থ হন ।
মা –
ইনফেকশন
স্বাভাবিক ডেলিভারি না হওয়া
সিজারের হার ( %) বৃদ্ধি
এমনিওটিক ফ্লুইড এম্বোলিজূম (Amniotic Fluid Embolism)-ইহা হচ্ছে মায়ের রক্তের মাধ্যোমে এমনিওটিক ফ্লুইড মায়ের ফুসফুসে গিয়া ফুসফুসের কাজ ব্যাহত করা -যার ফলে রোগীর স্বাসকস্ট হয় এবং ঠিকমতো চিকিৎসা না করলে এমনকি চিকিৎসা করলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এমনিওটিক ফ্লুইড এম্বোলিজূম থেকে আরো সাংঘাতিক জীবননাশক কন্ডিশন (Dissemnated Intravascular Coagulation) হতে পারে । DIC খুব কম ক্ষেত্রে হয় তবে প্রতিরোধযোগ্য নয় .চিকিৎসা আছে কিন্তু সফলতার হার কম – মাত্র ২০%। এসব জেনে রাখবেন কিন্তু ভয় পাবেন না । কারন ; ১ লাখে মাত্র ১ জনের DIC হতে পারে ।
পানি ভাংগার কারন :
ইনফেকশন
গর্ভে একের অধিক সন্তান
জরায়ুর মুখ ঢিলা
পুস্টির অভাব
জন্মগতভাবে কোলাজেন টিসুর দুর্বলতা
জবরদস্তি সহবাস
একটানা কস্টোকর ভ্রমন
একনাগারে অনেকক্ষন কঠোর কায়িক পরিশ্রম ।
পেটে আঘাত
জোরে আছাড় খাওয়া ।
অজানা ।
আমাদের সবাইকে পানি ভাংগার ঝুঁকিগুলো জেনে এড়িয়ে চলার জন্য সচেতন হতে হবে ।