গর্ভাবস্থায় অ্যাজমা ও প্রতিকার
অ্যাজমা থাকলে স্বাষকস্ট হয় গর্ভবতীর স্বাষকস্ট হলে বাচ্চা ঠিকমতো অক্সিজেন
পায়না বলে (বাচ্চা ) পেটের ভিতরে ঠিকমতো বেড়ে উঠে না । ব্রেন পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় । অনেক সময় অকালে (সময়ের আগে ডেলিভারি )/Preterm labour. হয় ।
গর্ভাবস্থায় মায়ের স্বাসকোস্টের মাত্রা বাড়তে থাকে এবং সাথে ফুসফুসের সংক্রমন হলে মা ভীষন জটিলতার সম্মুখীন হন ; অথচ অ্যাজমা নিয়ন্ত্রনে রাখার আজকাল যথোপযুক্ত চিকিৎসা রয়েছে ।
গর্ভাবস্থায় মাকে প্রসূতি এবং ফুসফুস রোগ বিশেষজ্ঞ দলগতভাবে চিকিৎসা করলে মা ও বাচ্চা উভয়েই সুস্থ্য থাকা সহজ ।
আজকাল গর্ভাবস্থায় নিরাপদ খাবার বড়ি খেলে এবং ইনহেলার গর্ভবতী ঠিকমতো ব্যবহার করলে কোন জটিলতা হয় না ;পুরো গর্ভকালীন সময়ে এ সব চিকিৎসা মা নিতে পারবেন . আরাম বোধ করবেন এবং মা ও বাচ্চার জটিলতা হবেনা ।
যেসব খাবার খেলে অ্যাজমা বাড়ে মা সেগুলো খাবেন না ।
পরিবেশগত উদ্দীপকগুলোকে(ধুলো ..ঝুল. ধুঁয়া ফুলের রেনু ) এড়িয়ে চলতে হবে ।
গর্ভের শেষদিকে অ্যাজমা বেশি বাড়তে পারে ; দেরি না করে হাসপাতালে ভর্তি হবেন এবং হাসপাতালে ডেলিভারি করা নিরাপদ ।
স্বাষতন্ত্রের অসুখের মাত্রা নির্ধারন করে চিকিৎসক গর্ভবতীর চিকিৎসা করা হয় ।
অতএব .অ্যাজমা রুগী গর্ভবতী হলে ভয় না করে চিকিৎসা নিবেন ।
ডাঃ নুরজাহান বেগম
সহযোগী অধ্যাপক (বন্ধ্যাত্ব ও প্রজনন)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়