গর্ভাবস্থায় যেসব খাদ্য খেতে না দেওয়া কুসংস্কার এবং যেগুলো খেলে গর্ভপাতের
সম্ভাবনা এবং মা – বাচ্চার জীবনের জন্য ঝুঁকি থাকে সেগুলো সম্বন্ধে আমাদের জানা জরুরি :
* ডাব – মুরুব্বিরা গর্ভবতীকে ডাব খেতে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারী করেন । তাঁদের বক্তব্য – ডাব খেলে গর্ভস্থ বেবির চোখ আমেরিকানদের মতো কয়রা হবে ; পুরোটাই অসত্য । চোখ / চুলের রং সম্পূর্ন জিনগত , কাজেই ডাব খেতে না দেওয়া কুসংস্কার । ডাবের পানি খেলে মা ও বাচ্চা উভয়ে সুস্থ্যই থাকেন । সুতরাং , গর্ভবতীকে ডাবের পানি অবস্যই খেতে দিবেন ।
* কাঁচা -পেঁপে – ইন্টারনেট বিস্তারের সাথে তাল
মিলাইয়া গর্ভাবস্থায় পেঁপে খাওয়া যাবেনা বলে আনেকেই জেনেছি । প্রানীর উপর গবেষনালব্ধ তথ্য থেকে জানা গিয়াছে -কাঁচা পেঁপেতে জরায়ু সংকোচনশীল পদার্থ থাকে
বলে সামান্য কিছু ক্ষেত্রে গর্ভপাতের আসংকা হিসেবে পেঁপেকে ধরা হয়েছে । পাকা পেঁপে খাওয়া যাবে ।
কাঁচা – পেঁপেতে থাকে পেপসিন ,প্যাপাভেরীন এবং ল্যাট্রিকস ।
প্রথম ২ টি ভ্রুনের ক্ষতি করে এবং পরেরটি জরায়ুকে সংকুচিত এবং জরায়ুর মুখকে
সীথীল করে গর্ভপাতের আসংকা / সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে ।
* আনারস – আনারসে ব্রোমিলিন নামক পদার্থ থাকে যা জরায়ুকে নমনীয় করে বলে গর্ভপাতের ভয় থাকে ।
* ঘৃতকুমারী বা এলোভেরার রসের সরবত ma- বেবির জন্য ক্ষতিকর ।
* অংকুরিত বা সবুজ আলুতে বিষাক্ত পদার্থ থাকে যা ভ্রুনের ক্ষতি করতে পারে ।
* আঙ্গুর – মা -বেবি উভয়ের জন্য ভালো হলেও রেসভেট্রল নামক যে পদার্থ থাকে তা বেবির ক্ষতি করতে পারে তবে বৈজ্ঞানিক কোন জোরালো প্রমান নেই ।
* সামুদ্রিক মাছ – বেবির মস্তিস্ক ও নার্ভ গঠনের জন্য খুবই জরুরি তবে যেগুলোতে পারদ আছে সেগুলো খেলে বেবির গঠনগত ক্ষতি হতে পারে । স্যালমন ও টুনা মাছ খুবই ভালো কিন্তু sword ও tile সামুদ্রিক মাছ খাওয়া ভালোনা ; এ এগুলোতে পারদ থাকে ।
* সজনে ডাটা – এতে থাকে আলফা সিটস্টেরল যা বেবির ক্ষতির কারন । এখানেও বৈজ্ঞানিক প্রমান দুর্বল ।
* করলা – এতে মারডিসিন নামক পদার্থ থাকে যা মায়ের হজমে অসুবিধা করে ।
* ধনে পাতা – ইহাও খাদ্য হজমে অসুবিধা করে ।
* তিল মায়ের বমি ভাব বৃদ্ধি ও পেট ভার করে ।
* গাছ গাছড়া ভেষজ পদার্থ এগুলোতে steroid থাকে যা বেবির গঠনে ব্যাঘাত ঘটায় । ডংকূই এগুলোর মধ্যে উল্লেখ্য ।