এন্ডমেট্রিওসিস পর্ব -১
এন্ডোমেট্রিওসিস . বন্ধ্যত্বের উপর এর প্রভাব এবং প্রতিকার :
এন্ডমেট্রিওসিসা হচ্ছে এক ধরনের মহিলা রোগ যা মেয়েদের প্রজননকালে দেখা যায় । জরায়ুর সবচেয়ের ভিতরের আবরনকে এন্ডোমেট্রিয়াম বলে .ডিম্বাশয় এর হরমোনের প্রভাবে প্রতিমাসে এই এন্ডোমেট্রিয়াম পুরু হয় এবং গর্ভধারণ না হলে ভেংগে গেলে পিরিয়ড হয় ।
উক্ত এন্ডমেট্রিয়াম জরায়ুর ভিতর ছাড়া শরীরের অন্য জায়গায় প্রতিস্থাপিত হয়ে মাসিকের সময় বৃদ্ধি পোয়ে অনাকাংখিত অবস্থানে রক্তক্ষরন হলে এন্ডোমেট্রিওসিস বলে । এ ধরনের এন্ডোমেট্রিয়ামকে এক্টোপিক এন্ডমেট্রিয়াম বলে ।
কোথায় কোথায় এন্ডোমেট্রিওসীস হয় ?
ডিম্বাশয়
টিউব
জরায়ুর পৃস্ঠতলে
বোস্টিকোটরের পাতলা পর্দায় (পেরিটোনিয়ম )
ওমেন্টম (omentum )
অন্ত্রে (intestine )
ইউটেরোস্যাকরাল লিগামেন্ট (uterosacral ligament )
মূত্রথলিতে
নাভিতে
সিজার অপারেশন এর কাটা জায়গায়
tইপিসিওটমির (delivery এর সময় বাহির যৌনাঙ্গের কাটা) জায়গাই সেলাই এর জোড়ায় ।
উপসর্গ কি কি ?
কিছু ক্ষেত্রে কোন উপসর্গ নাও থাকতে পারে
পিরিয়ডের সময় স্বাভাবিক এর চেয়ে বেশি রক্তক্ষরন
দুই মাসিকের মধ্যবর্তী সময়ে অল্প অল্প (spotting ) করে রক্ত যাওয়া
পিরিয়ডের সময় প্রচুর পেটে ব্যথা ;শেষের দিকে সবচেয়ে বেশি ব্যথা
সারা মাস জুড়ে কিছু ব্যথা থেকেই যায়
পায়খানা / প্রস্রাবের সময় ব্যথা
শারীরিক মিলনে ব্যথা
গর্ভধারণ না করা (বন্ধ্যাত্ব )
ব্যথার ধরন কেমন ?
ছুরিকাঘাতের মত /টান দিয়া সব নাড়ি বের করার মত ।
ব্যথা লাঘবের জন্য কি করতে হয় ? ব্যথানাশক ঔষধ সেবন /ইনজেকশন /ডুস নিতে হয় । অনেক সময় এ ব্যথা এতোই বেশি হয় যে রুগী কোন কাজই করতে পারেন না.জীবনযাপন দুর্বিসহ হয়ে পড়ে ।
এন্ডোমেট্রিওসিসের বিস্তোরের উপর কি ব্যথা নির্ভর করে ?
সবসময় বিস্তোরের উপর কি ব্যথা নির্ভর করে ?
করেনা ; অনেকে বন্ধ্যাত্ব নিয়া আসলে এন্ডোমেট্রিওসিস ধরা পড়ে ;অনেকে আবার সল্প এন্ডোমেট্রিওসিস এ অনেক উপসর্গ নিয়া আসেন ।
অবিবাহিত অল্প বয়সের মেয়েদের কি এটা হতে পারে ?
হা
আ
এসব মেয়েদের জন্য ভালো কোন পরামর্শ আছে ?
হা ;যেহেতু এরোগ একবার হলে থেমে থাকেনা সেহেতু অভিভাবকদের তাড়াতাড়ি মেয়েদের বিবাহ দিয়া বাচ্চা নেওয়ার জন্য সচেতন করান ।
বাচ্চা নিলে কি সুবিধা হবে ?
বাচ্চা গর্ভে থাকলে ও স্তন্যদান করলে রোগীর পিরিয়ড বন্ধ থাকে বলে অস্বাভাবিক জায়গার এনোডোমেট্রিয়াম থেকে দির্ঘোদিঁন রক্তক্ষরন না ঘটায় ওগুলো নিস্ক্রিয় এবং নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় ও এ রোগ ভালো হয়ে যেতে পারে ।
এন্ডোমেট্রিওসিস কিভাবে ডায়াগনোসিস করা যাবে ?
* ইতিহসে পিরিয়ডের সময় বিশেষ বৈশিস্ট ধরনের ব্যথা এ রোগের খেয় দেয় ।
*USG-এ রোগ অতিরিক্ত মাত্রায় বিস্তর হলে ও এন্ডোমেট্রিওটিক সিস্ট বা চকোলেট সিস্ট
তৈরি হলে usg এ ধরা পড়ে ।
* ল্যাপারোস্কোপী -এটি সবচেয়ে ভালো উপায় ;একই সাথে রোগ নির্নয় .বিস্তর এবং চিকিৎসা দেওয়া যায় ।
পরবর্তীতে আমরা জানবো এ রোগের বিস্তর ..চকোলেট সিস্ট জটিলতা ও চিকিৎসা সম্বন্ধে ।