একলাম্পশিয়া (পর্ব ১)

একলাম্পশিয়া (পর্ব  ১)

গর্ভাবস্থায়   একলাম্পশিয়ার /খিঁচুনি (Eclampsia) ও  গর্ভস্থ  সন্তান এবং  মায়ের  ভয়াবহ অবস্থা :

বিস্বব্যাপী  মাতৃমৃত্যর  হার  শুনলে বাক  রুদ্ধ  হয়ে  আসে ;প্রতিদিন ৮৩০ জন  নারী  গর্ভ  এবং  প্রসব  জটিলতায় মৃত্যু বরন  করছেন ।

খিঁচুনি  মাতৃমৃত্যুর  দ্বিতীয়তম  কারন ।

একলাম্পশিয়া কি ?

প্রিএকলাম্পশিয়ার  রুগীর  খিঁচুনি   হলে  একলাম্পশিয়ার  বলে ।

 কাঁদের  একলাম্পশিয়া বেশি  হয় ?

* প্রিএকলাম্পশিয়া রুগীর

*২০ বছরের  আগে  গর্ভবতী  হলে

*৩৫ বছরের  পরে  গর্ভে  সন্তান  আসলে

*আগে  থেকে  উচ্চ  রক্তচাপে  ভুগলে

*ডায়াবেটিস  থাকলে

* কিডনির  রোগ  থাকলে  ।

* গর্ভে  একের  অধিক  সন্তান  থাকলে

* নিজের  বা পরিবারের  খিঁচুনির  ইতিহাস  থাকলে

*অত্যধিক  মোটা  হলে

কোন কোন  সময়  খিঁচুনি  হতে  পারে?

* গর্ভ  ৬ মাস  পুর্ন  হলেই  যে  কোন  সময়

* প্রসবের  সময়

*প্রসবের  ৪৮ ঘন্টার  মধ্যে

*প্রসবের  ৬ সপ্তাহের  মধ্যেও  হতে  পারে

 কখন সবচেয়ে  বেশী  হয় ?

প্রসব  বেদনা  শুরু  হবার  ঠিক  পূর্বে  ।

কি  কি  লক্ষন  দেখলে  খিঁচুনি  আসন্ন  বুঝতে  হবে ?

ধুম  করে  শরীরের  ওজন  বৃদ্ধি  পেলে

 মুখ .হাত -পা  ও সমস্ত  শরীরে  পানি  আসলে

প্রেসার  কন্ট্রোলের  মেডিসিন  চলা  সত্তেও  প্রেসার  নিয়ন্ত্রনে  না  আসলে

দৃস্টি কমে  গেলে

 চোখে  ঝাপসা  দেখলে

হটাৎ  চোখে  আলোর  ঝলকানি  দেখলে

দ্বৈত  দৃস্টি  (একটি  জিনিস  কে  ২ টি  দেখা

চোখ  উল্টালে

বমি  হলে

মাংসপেশিতে  টান  ধরলে

শরীরের  সমস্ত  মাংসপেশী শক্ত  হলে

উপরের  পেটে  তীব্র  ব্যথা  হলে

অনিদ্রায় ভুগলে

জিহবায় কামড়  দিলে

অজ্ঞান  হলে

একবার  খিঁচুনি  হলে  রুগী  কিছুক্ষন  শান্ত  হয় ।

ডাঃ নুরজাহান বেগম

সহযোগী অধ্যাপক (বন্ধ্যাত্ব ও প্রজনন)

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

Scroll to Top