প্রি -একলাম্পশিয়া
প্রি – একলাম্পশিয়ায় প্রাই ৫ থেকে ১০% গর্ভবতী আক্রান্ত হয় ।
মেয়েদের প্রজননকালে জটিল ও ঝুঁকিপূর্
একটি অবস্থা হচ্ছে প্রি -একলাম্পশিয়া:
প্রি -একলাম্পশিয়া কি ?
গর্ভাবস্থায় ও প্রসবপরবর্তী (৬ সপ্তাহের মধ্যে ) মেয়েরা উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হলে . প্রস্রাব দিয়া প্রোটিন বের হলে এবং শরীরে পানি আসলে প্রি -একলাম্পশিয়া বলে ।
কারন কি ?
সঠিক কারন জানা যাইনি ।
প্রি -একলাম্পশিয়া কোন বয়সে বেশি হয় :
২০ বছরের কম বা ৩৫ বছরের বেশি বয়সে গর্ভ ধারন হলে ।
কোন কোন ক্ষেত্রে প্রি একলাম্পশিয়া বেশি পরিলক্ষিত হয় ?
*পূর্বে প্রি -একলাম্পশিয়াহলে
* মা বা বোনের প্রি -একলাম্পশিয়ার ইতিহাস থাকলে
* নিজের বা পরিবারের উচ্চ রক্তচাপ থাকলে
*ডায়াবেটিস বা কিডনিরোগে ভুগলে
*অত্যধিক মোটা হলে
*একাধিক সন্তান গর্ভে থাকলে ।
লক্ষনগুলো কি?
রক্তচাপ ১৪০/৯০ মিলিমিটার অব মার্কারিআর বেশি হয় ।
প্রস্রাবে প্রোটিন থাকে
হতে -পায়ে .মুখে ও শরীরে পানি আসে
রোগী আর কি কি অসুবিধার কথা বলে ?
অসহ্য মাথা ব্যথা
চোখে ঝাঁপসা দেখা
অনিদ্রা
বমি ভাব
পেটে ব্যথা
কম কম প্রস্রাব হওয়া বা একেবারে না হওয়া
পেটে ব্যথা হওয়া
দুর্বল হওয়া
স্বাসকস্ট হওয়া
অস্থিরতা বোধ করা
শরীর ফুলে যাওয়া ।
কোন সময় প্রি – একলাম্পশিয়া বেশি হয় ?
গর্ভের ২০ সপ্তাহ পর এবং বাচ্চা প্রসবের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ।
এ অবস্থা কি প্রতিরোধ করা যাই ?
না .তবে চিকিৎসা করে নিয়ন্ত্রনে রাখা যাই ।
কিভাবে চিকিৎসা করা যাই ?
প্রেসারের ঔষধ সেবন ও প্রোটিন খাবার খেয়ে এবং দিনে রাতে ১০ ঘন্টা ঘুমাইয়া ।
আর কি কি করা দরকার ?
গর্ভোপূর্বো ও প্রসবপূর্ব যত্ন সঠিক ভাবে মেনে চললে ।
গর্ভবতীকে কি কি করতে হয় ?
প্রেসার ..প্রস্রাবে প্রোটিন এবং ওজনের চার্ট সঠিকভাবে সংরক্ষন করে ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক চলতে হয় ।
এ অবস্থায় মায়ের কি কি ক্ষতি হয় ?
*লিভার .কিডনী হার্ট ফেল এবং মস্তিস্কে রক্তক্ষরন হয় ।
*একলাম্পশিয়াতে (খিঁচুনি ) রূপান্তরিত হয় ।
গর্ভস্থ সন্তানের কি অসুবিধা হয় ?
শরীরের বৃদ্ধি হয়না
অপরিপক্ক অবস্থায় ভুমিস্টো হয়
পেটেও মারা যাই ।
প্রসবের পর কি কোন অসুবিধা হয় ?
হা .জরায়ু থেকে খুব বেশি রক্তক্ষরণ হয় এবং সময়মতো চিকিৎসা না করলে রোগীর মৃত্যু ও ঘটতে পারে ।
কাজেই প্রি- একলাম্পশিয়া হলে আমাদের সজাগ থাকতে হবে ।
ডাঃ নুরজাহান বেগম
সহযোগী অধ্যাপক (বন্ধ্যাত্ব ও প্রজনন)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়