পেটে জমজ সন্তান থাকলে কি কি জটিলতা হতে পারে ? সুফল কি ?
* গর্ভাবস্হায় অতিরিক্ত বমি (হাইপারইমেসিস গ্রাভিডেরাম ) ।
* বেশি বেশি খারাপ লাগা
* রক্তশূন্যতায় ভূগা
* পুস্টিহীনতা
* জরায়ুতে বেশি পানি (polyhydramnios )
* বেবীদের জন্মগত ত্রুটি হতে পারে ।
* টুইন টু টুইন ট্রান্সফিউশন ( এক বেবি বেশি অক্সিজেন ও পুস্টি পায় এবং অন্য বেবি পুস্টিহীনতায় ভুগে ।
* এক বেবি পেটে মারা যেতে পারে এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে জীবিত বেবির প্রসব না করালে উক্ত বেবির ব্রেনে সমস্যা হয় । এমনকি দুটো বেবিই মারা যেতে পারে ।
* পেটে অনেকদিন বেবি মৃত অবস্থায় হওয়ার বেশিদিন থাকলে মায়ের রক্তে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন ঘটে মায়ের জটিল অবস্থার সৃস্টি হয় এমনকি মৃত্যু ঘটতে পারে ।
* মায়ের ডায়াবেটিস হয় গর্ভাবস্থায়
* গর্ভবতীর প্রিএকলাম্পশিয়া এবং একলাম্পশিয়া হতে পারে । উক্ত দুটি অবস্থার ফলে মা – গর্ভস্থ বেবি উভয়ই বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগতে পারেন। ঠিকমতো চিকিৎসা না করলে মায়ের খিঁচুনি হয়ে মারা যাবার ভয় থাকে বেবিও মারা যেতে পারে ।
* বেবীদের পজিশন উল্টো বা আড়াআড়ি থাকলে সিজারের সম্ভাবনা বেড়েই যায় ।
* প্রসবের প্রসবোত্তর অতিরিক্ত রক্তক্ষরন । জরায়ু বেশি বড় হওয়ার জন্য রক্তক্ষরন বেশি হয় – নরমাল ডেলিভারি ও সিজার উভয় পদ্ধতিতেই জরায়ু থেকে রক্তক্ষরন হয় । জরায়ু সহজে সংকুচিত হয়না ।
* গর্ভফুলের আকৃতি ও অবস্থান অস্বাভাবিক হয় বলে রক্তক্ষরন বেশি হয় এবং সিজার লাগে ।
* সময়ের আগেই পানি ভেংগে যেতে পারে । ফলে অপরিপক্ক বেবি প্রসব হয় যাদের NICU তে রাখা লাগে । NICU ব়্যায়বহুল এবং সর্বত্র প্রাপ্যনিয় নয় ।
* বেবির থলে ফেটে গেলে নাড়(umbelical cord ) জরায়ুর মুখ দিয়া বের হয়ে যায় এবং ১০ মিনিটের মধ্যে প্রসব করা না হলে বেবি মারা যায় ।
* অপরিপক্ক বেবিরা জন্ডিসে ভুগে । কিচুক্ষেত্রে মানসিক প্রতিবন্ধীও হতে পারে । সময়ের সাথে সাথে সঠিক বৃদ্ধি নাও হতে পারে ।
গর্ভবতী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা সচেতন থাকলে এবং ভালো প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ও হাসপাতাল পেলে উপরোক্ত সব খারাপ পরিস্থিতির মোকাবেলা করা সম্ভব । কাজেই ভয় না পেয়ে সচেতন ও সুব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ রইলো ।
সুফল :
একসাথে দুটো বেবি পাওয়া যায় ;বিশেষ করে বন্ধ্যা দম্পতিরা এক সাথে দুজন বেবি পেয়ে মাতৃত্ব ও পিতৃত্বের চরম সুখ ভোগ করেন ।