গর্ভাবস্থায় গর্ভস্থ বেবির মৃতু্র সম্ভাব্য কারন .প্রতিরোধ ও প্রতিকার এবং প্রসবের ধরন সম্বন্ধে কিছু তথ্য:
গর্ভকালীন সময় ২০ সপ্তাহ অতিক্রম করার পর গর্ভস্থ শিশু গর্ভে মারা গেলে চিকিৎসা বিজ্ঞানে IUD(Intrauterine Foetal Death ) / পেটে মৃত সন্তান বলে ।
সম্ভাব্য কারনগুলো :
* শিশুর বিকলাঙ্গতা
* গর্ভে একের অধিক বেবি
* মায়ের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস
* মায়ের অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্ত – চাপ
* মায়ের অনিয়ন্ত্রিত থাইরয়েড ডিজওর্ডার
* মায়ের কিডনি রোগ (অতিরিক্ত মাত্রায় )
* মায়ের অতিরিক্ত জ্বর
* মায়ের মারাত্বক পানিশূন্যতা
* পেটে প্রচন্ড আঘাত পেলে ।
* মায়ের অনিয়ন্ত্রিত SLE
* মায়ের জরায়ুতে টিউমার যার উপরে গর্ভফুল প্রতিস্থাপিত হলে বাচ্চা ঠিকমতো পুস্টিই পায়না ।
* গর্ভাবস্থায় প্রিএকলাম্পশিয়া ও একলাম্পশিয়া
* মায়ের জরায়ুর জন্মগত ত্রুটি যেমন – ছোটো জরায়ু , বিভক্ত জরায়ু(septed uterus ) .
* গর্ভফুলের অস্বাভাবিক গঠন ও অবস্থান
* গর্ভফুল সরে যাওয়া abruptio placentae )
প্রতিরোধ :
# গর্ভ – পূর্ব চেক -আপ
# ফলিক এসিড সেবন
# হরমোনের ভারসাম্যহীনতার চিকিৎসা
# মায়ের SLE এর সঠিক চিকিৎসা
# অন্যান্য মেডিকাল রোগের সঠিক নিয়ন্ত্রন বা গর্ভধারণের আগে গাইনী বিশেষজ্ঞ এর সিদ্ধান্ত বা পরামর্শ নেওয়া ।
# জমজ সন্তানে পেটে থাকলে নিয়মিত চেক -আপ করা
# মায়ের যাতে ইনফেকশন না হয় সেজন্য সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে ।
# জরায়ুর টিউমার অপসারন ।
# হিস্টরোস্কপি/ল্যাপারোস্কোপী করে জরায়ুর ভিতরের পর্দা অপসারন ।
# বেবির নাড়াচাড়ার চার্ট তৈরি করে ডা: কে দেখানো ।
# বেবির নড়াচড়া কমলে বা ধরন পরিবর্তন হলে হাসপাতালে গিয়া টেস্ট ও চিকিৎসা করা ।
প্রতিকার :
বেবি পেটে মারা গেলে ণিস্চিত হয়ে ডাক্তারের পরামর্শে পরিখা -নিরীক্ষা করে ডেলিভারি করানো ।
ডেলিভারির ধরন :
প্রসব – বেদনা না উঠলে ঔষধ দিয়া ব্যথা উঠায়ে নরমাল ডেলিভারি করা শ্রেয় ।
আগে একটি সিজার থাকলেও নরমাল
ডেলিভারি করা যাবে ।
সতর্কতা –
২ টি সিজারের ইতিহাস থাকলে সিজার করতে হবে ।
মরা বেবি পেটে বেশিদিন রাখা সমীচীন নয় ।
রক্তের ডোনার রেডি রাখতে হবে
বড় হাসপাতালে ডেলিভারি করাতে হবে
ডেলিভারির ৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়তে হবে ।
Antibiotics এর পুরো কোর্স কমপ্লিট করতে হবে ।
বি : দ্র: বেবি হটাৎ করে পেটে মারা যায় না ; প্রথমে নড়া কমে -তারপর মারা যায় । সুতরাং .মাকে বেবির নড়াচড়ার চার্ট তৈরী করতে হবে । খাবারের আধা ঘন্টা পর ১ ঘন্টায় যতবার নড়বে তা খাতায় ডাগাবে । দিনে – রাতে ১২ বার নড়লে ভয় সাধারনতঃ থাকেনা । বেবি পেটে মারা যাওয়ার আগে ধীরে ধীরে নড়া কমতে থাকে ।